পৃথিবীর প্রতিটি দেশের একজন স্থপতি থাকেন। লাল-সবুজের বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ডাকেই এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতার রঙ্গীন সূর্য। কিন্তু কিছু অকৃতজ্ঞ লোভীদের কারণে অসময়ে স্ব-পরিবারে পৃথিবী ত্যাগ করতে হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে। তিনি আজ বেঁচে থাকলে হয়তো অনেক আগেই একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতো বাংলাদেশ। তাই বলতে হয় জাতি হিসেবে আমরা বড়ই অভাগা। এরপরও তাঁর উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মানের পথে হাঁটছে দেশ।
কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
রবিবার বিকেলে শহরের অভিজাত এক হোটেলের হল রুমে সংগঠনের সভাপতি রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সায়ীদ আলমগীরের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ৪ যুগ অতিক্রম করার পথে থাকলেও দেশে এখনো অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বিপন্ন ভাবে জীবন চালাচ্ছে। কিছু বিশেষ দিবস ছাড়া সারা বছরে তাদের আর কোন খোঁজ নেয়া হয় না। আবার অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে বেখবর হয়ে নিগৃহীত জীবন চালাচ্ছেন। সেসব বেখবর হওয়া বীর সেনানী ও তাদের পরিবারবর্গের তথ্যাদি তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ও সম্মান প্রাপ্তিতে স্ব স্ব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী সদস্য জাবেদ আবেদীন শাহীন, হাসানুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ নয়ন, সদস্য কল্লোল দে চৌধুরী, এম. বেদারুল আলম, ওয়াহিদুর রহমান রুবেল, শামীম সরোয়ার ও আমির রাশেদ প্রমূখ।
বক্তারা সংগঠনের সদস্য ও নানা ভাবে হয়রানির শিকার সংবাদকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার দৃপ্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা ও ডেইলি স্টার প্রতিনিধি মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, এমআর খোকন, সদস্য ইব্রাহিম খলিল মামুন, জসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী, মইন উদ্দিন, রাশেদ রিপন, শাহ নিয়াজসহ অন্যান্যরা। সভার শেষ সময়ে ১৫ আগস্ট নিহতদের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ###
পাঠকের মতামত: